দৃষ্টি আকর্ষন
সব সময় সর্বশেষ সংবাদ জানতে দৈনিক দেশপ্রেম নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করুন ........... আপনার এলাকার যে কোন সংবাদ আমাদের ছবিসহ জানান-আমরা সেটি প্রকাশ করবো দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায়, নিউজ পাঠান dailydeshprem@gmail.com এই ইমেইলে ............ আপনার পণ্যের খবর সকলের কাছে দ্রুত পৌছাতে দৈনিক দেশপ্রেম পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিন ..........
শিরোনাম :
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ানো হলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ও উপদেষ্টা আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ চাইলেন সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারি হলেন মোহাম্মদ সুফিউর রহমান শান্তিরক্ষী মিশনে আরও নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা একই ব্যক্তি সরকার প্রধান ও দলীয় প্রধান হতে পারবে না- এমন চর্চা আমরা দেখি না : বিএনপি বিএনপি বৈঠক করলো সিপিবি, বাসদসহ বাম নেতাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির রওশনপন্থিরা জি এম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করলো গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, আর এটি কাউকে চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয় : মির্জা ফখরুল বিচার ও সংস্কারের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার ততটুকু সময় পেতে পারে : এনসিপি ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির বৈঠক
ব্যারিস্টার তুরিনের মা নিজের বাড়ি ফিরতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান

ব্যারিস্টার তুরিনের মা নিজের বাড়ি ফিরতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান

ঢাকা, ২০ জুন ২০২০ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ নিজের বাসায় প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না এমন অভিযোগ করেছেন তার মা সামুসন নাহার তসলিম। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে অবস্থিত ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ব্যারিস্টার তুরিনের অনৈতিক ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকা-ে বাধা দেয়ায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। নিজের মেয়ের হাতে নিগৃহিত হওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে সামসুন নাহার তসলিম বলেন, এখানে- সেখানে ঘুরে বেড়াই।

আমি আমার দেশ ছেড়ে এ বয়সে কেন বিদেশে পড়ে থাকবো? এ দেশ আমার জন্মস্থান। আমি তো এখানেই থাকতে চাই। আমি আমার সংসারে ফিরে যেতে চাই। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আজ দুই বছর তিন মাস ১৯ দিন ধরে আমি আমার বাসার বাইরে। আমার স্বামী মারা যাওয়ার ১৮ দিন পর আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয় তুরিন।

আমার দোষ তার (তুরিন আফরোজ) কিছু আচরণের প্রতিবাদ করা। যেমন, ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে সবসময় ভাড়ার টাকা আমিই নিতাম। আমার স্বামী অবসরে যাওয়ার পর থেকেই বাড়ি ভাড়ার টাকায় আমাদের সংসার ও ওষুধের খরচ চলতো।

এরপর ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তুরিন বাসা ভাড়ার টাকা জোর করে নিয়ে নেয়। অপরিচিত লোকদেরকে রাত-বিরাতে ঘরে প্রবেশ করানো নিয়ে দারোয়ান ও ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করলে, তুরিনের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া লাগতো। এসব বিষয়ে নিষেধ করলে র‌্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম করে সে ভয় দেখাতো এবং বলতো ‘ওরা সবাই তার বন্ধু।’ কোনও কিছু বললেই ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করানোর ভয় দেখাতো।

সামসুন নাহার তসলিম বলেন, আমরা জানি, উনি অন্যায়-অবিচারকে প্রশ্রয় দেবেন না। আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই। আমি আজ মিডিয়ার মাধ্যমে উনার সহযোগিতা কামনা করছি। আমার শরীর ভীষণ খারাপ। ৬৫ শতাংশ কিডনি অকেজো (বলতে গিয়ে সামসুন নাহার কাঁদতে থাকেন)। সঙ্গে আবার ডায়াবেটিকস আছে। ওষুধ কেনার পয়সা বাড়িভাড়া থেকে পেতাম, সেটাও সে কেড়ে নিয়েছে। দেশে থাকার জায়গা নেই।

তিনি আরো বলেন, আমি তো ধারা বুঝি না। সে (তুরিন) আরও বলতো, পৃথিবীর যেখানেই থাকো সেখান থেকেই ধরে নিয়ে আসবো। আর তার গান ম্যান দিয়ে ভয় দেখাতো। গ্রামের বাড়ি নীলফামারি যেতে পারি না। সে সেখানকার দায়িত্ব নিয়ে জমিজমা ও বাড়ি নিজের নামে কুক্ষিগত করেছে। প্রতিবাদ করলে কথায় কথায় বড় আপু (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ও ছোট আপুর (শেখ রেহানা) প্রসঙ্গ টানতো।

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ভাই শাহনেওয়াজ শিশির সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্ষমতার দাপটে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ আমাকে এবং আমার বিধবা মাকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং হয়রানি করে আসছে। তার কারণ একটিই, আর তা হলো, দেশে আমাদের সম্পদ কুক্ষিগত করা। চক্ষু লজ্জায় এতদিন বিষয়টি আড়াল করে রেখেছি। আমি ও আমার মা ক্ষমতাসীন কাউকে অবমাননা করতে চাননি। একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে বাসা থেকে আমাদের বের করে দেয়ার পরও রাজউকের কর ও ভূমি কর আমি নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছি। অথচ আমার অনুপস্থিতিতে তুরিন আফরোজ ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে সংবিধান বর্হিভূত কাজে বাধ্য করে আমাকে আর আমার মাকে ক্ষতি করছে। ব্যারিস্টার তুরিন শুধু ঢাকাতেই নয়, নীলফামারীতে আমাদের চাচাতো ভাইবোনদের জমিজমাও জিম্মি করে রেখেছে।

এর আগে, গত ১৪ জুন, নিজ বাড়িতে মা সামসুন নাহার তসনিম ও ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির বাসায় ঢুকতে না পেরে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। শুক্রবার ছোট ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদ শিশির ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে এই জিডি করেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর বাসায় ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে জিডি (জিডি নম্বর- ১১৮৮) করছিলেন তার ভাই শাহনেওয়াজ শিশির।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© Copyright 2012 Daily Deshprem Design & Developed By Mahmud IT